Mild cognitive impairment থেকে Late stage বা লম্বিত পর্যায় পর্যন্ত অধিকাংশ স্মৃতি-ভ্রম রোগীই আলজেইমারস রোগে ভোগে, অর্থাৎ আলজেইমারস রোগের প্রাথমিক উপসর্গ এই পর্যায়ে প্রকাশ পায়।
- Fixed cognitive impairment:-
মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে রোগীর স্মৃতি শক্তি লোপ পায় তা আমরা অনেকেই জানি। এ ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ায় স্মৃতিশক্তি লোপ পায় যা hypoxic-ischemic injury নামে পরিচিত। কোনো ব্যক্তি স্ট্রোক ( Ischemic stroke, বা intracerebral, subarachnoid, subdural বা extradural hemorrhage) হলেও স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়, এছাড়াও মেনিনজাইটিস বা এনসেফালাইটিস রোগেও স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। অতি মাত্রায় মদ্যপানও স্মৃতি শক্তি লোপের কারণ, যা এলকোহল ডিমেনশিয়া নামে পরিচিত। এছাড়াও অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রেও ডিমেনশিয়া পরিলক্ষিত হয়। যেমনঃ-
Parkinson’s disease,
Creutzfeldt-Jakob disease,
Corticobasal degeneration,
Progressive supranuclear palsy,
Canavan disease,
Cerebrotendinous xanthomatosis,
Dentatorubral-pallidoluysian atrophy,
Fatal familial insomnia,
Fragile X-associated tremor/ataxia, syndrome,
Glutaric aciduria type 1,
Krabbe’s disease,
Maple syrup urine disease,
Niemann Pick disease type C,
Neuronal ceroid lipofuscinosis,
Neuroacanthocytosis,
Organic acidemias,
Pelizaeus-Merzbacher disease,
Urea cycle disorders,
Sanfilippo syndrome type B,
Spinocerebellar ataxia type 2.
ডিমেনশিয়ার ক্ষেত্রে বয়স একটি বড় বিষয়। কোন বয়সে স্মৃতি-ভ্রম রোগ হয়েছে তা রোগের প্রকার, পর্যায় এবং রোগ নির্ণয় করা হয়। যেমন ৬৫ বৎসরের বেশি বয়সী ব্যক্তির ক্ষেত্রে অধিকাংশ রোগীই আলজাইমারস রোগে ভোগে থাকেন। হাইপারথাইরইডিজম, ভিটামিন B12 এর ঘাটতি সাধারণত কম বয়সী রোগদের ক্ষেত্রে দেখা যায়।
রোগ নির্ণয়ঃ-
সাধারণত লক্ষণ এবং উপসর্গের উপর ভিত্তি করে ডিমেনশিয়া রোগ নির্ণয় করা হয়। রোগীর জন্য তৈরি বিশেষ প্রশ্ন তালিকা থেকে প্রশ্ন করে ডিমেনশিয়া সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় (mini mental state examination)। অনেক ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান বা এমআরআই জাতীয় পরীক্ষা করা হয় মস্তিষ্কের অবস্থা বোঝার জন্য। এছাড়া vitamin B12, folic acid, thyroid-stimulating hormone (TSH), C-reactive protein, full blood count, electrolytes, calcium, renal function, and liver enzymes প্রভৃতি পরীক্ষা প্রয়োজন-মাফিক করা হয়ে থাকে।
ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ এবং চিকিৎসাঃ-
ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে চিকিৎসক-গন সবচেয়ে বেশি জোর দিয়ে থাকেন জীবনযাত্রার মান, দৈনন্দিন কর্ম পদ্ধতি পরিবর্তন এবং নির্দিষ্ট পথ্যের উপর। ঔষধের পাশাপাশি রোগীকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে সহায়তা প্রদান করলে রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হয়। ইদানীং ডিমেনশিয়ার রোগীদের জন্য আলাদাভাবে ডে-কেয়ার ক্লিনিক চালু হয়েছে যেখানে রোগীদের মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য বিশেষ ধরনের সেবা প্রদান করা হয়।
সতর্কতাঃ-
ডিমেনশিয়ার রোগীদের যে সকল ঔষধ প্রদান করা হয় তাতে অনেক রোগীর ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ঔষধ সেবনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডেমো আর্টিকেল - ক্রেডিট: মেন্টাল হেলথ কেয়ার